বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

আমাদের গ্রাম

পূর্বে গাঁয়ের নামটি ছিল
ডাকত সবাই মুন্সিগন্জ;
এত সুন্দর গাঁ টি কোথায়?
শুনলে যে কেউ নিত খোজ।

গায়ের সবাই নামাজ পরে
বৌ ঝিরা পর্দা করে,
মিশেছিল এক সাথে;
সৎ আদর্শে সভ্য ছিল
চলেছিল ধর্মের পথে।

একদা এক বূজুর্গ এসে
গাঁয়ের লোকের সততা দেখে
এমন গাঁয়ের মতন গাঁ
তিনি কোথাও দেখেন নাই!!!
আদর্শ গাঁ নামটি দিয়ে
উপাধি দিলেন তাই।

গাঁয়ের কোণে বাস করিত
জন্তি বংশি জাতি,
মিলেমিশে বাস করিত
ছিল না যে ব্যাতি।
কুমোর কুমারি ছিল
ছিল বংশি বাদক;
মাটির হাড়ি তৈয়ার করে
নিশীতে বাঁশির সাধক।

এইভাবেতে হঠাৎ একদিন
জন্তি বংশির সাথে;
গাঁয়ের লোকের ঝগড়া বাধে
লাঠি হাতে হাতে।
গাঁয়ের সাথে জন্তি জাতির
লাগল মারামারি,
জন্তি বংশির মাটির হাড়ি
ভাংগা হুরোহুড়ি।
জন্তি জাতি গাঁ ছেরে
পালিয়ে চলে গেল,
গাঁয়ের লোকে জোট বেধে
তাড়িয়ে তাদের দিল।

পরেছিল জন্তি বংশির
মাটির হাড়ির কান্দা;
এই ঘটনা দেখতে এসে
লাগল অনেকে ধান্দা
সেই থেকে এই গাঁয়ের নামটি
হইল জন্তিরকান্দা।
 
                            মিনার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন