বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দিলে দয়া থাকলে মায়া জন্মে

আজ অফিসে যাওয়ার পথে ধানমন্ডি শঙ্কর বাসস্টানডে নেমে রাস্তা পার হচ্ছি।এমন সময় সুন্দর একটি দৃশ্য দেখে মোনটা ভরে গল।মনে হল এমন মানুষ পৃিথিবীতে  কজনই বা আছে। দেখলাম একটি রিকসাতে একটি মেয়ে বসে আছে।সেখানে একটি ভিক্ষুক দারানো।লোকটা মুরুব্বি বয়সের হবে।মুরব্বি লোকটা রিকসার সাথে মেয়েটির কাছে দারানো।মুরুব্বি ভিক্ষুকটি মেয়েটির কাছে কষ্টের কথা প্রকাশ করছে।আর ময়েটি খুব মোনযোগে উনার কথাগুলো শুনছে আর নিজের বাবার মত মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে সান্তনা দিচ্ছে।এই দৃশ্য দেখে চমকে গেলাম ভাবলা হায়রে মনের মাঝে কতো দয়া তার।লোকটার প্রতি এত মায়া করছে।যা সেই ভিক্ষুকের ছেলে মেয়েও মনে হয় এমন মায়া করেনা।যার জন্য রাস্তায় উনাকে ভিক্ষা করতে হয়।যার পেটে জন্ম নিল,যার জন্য পৃথিবীর আলো দেখতে পেল।আর সেই মানুষ যদি ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় নামে।তাহলে তারা কেমন সন্তান?
আমরা ভিক্ষুককে দেখলে সামন থেকে তারিয়ে দেই আসলে এটা ঠিক নয়।উনারা মনে কষ্ট পায়।সেই মেয়েটির মতো এমন মানুষ পৃথিবীতে কজনই বা আছে।আমরা সবাই যেন ভিক্ষকের সাথে ভাল আচরন করি এবং তাদেরকে যতটুকো পারি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

শুধু কি ঢাকা ডিজিটাল হলেই বাংলাদেশ ডিজিটাল?আর গ্রাম কি আ্যানালগই থাকবে?

বাংলাদেশের  বিভিন্ন জায়গা, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল আমাদের কুড়িগ্রামের রৌমারীর মানুষ পানিতে ভাসছে।বেশ কদিন ধরে ফেইসবুক, পত্র পত্রিকায়, খবরে দেখছি।কিন্তু আমাদের বান ভাসি মানুষের কাছে সরকার কেন এগিয়ে আসছেনা?বাংলাদেশ সরকার কি শুধু ঢাকা কেই ডিজিটাল করা নিয়েই ব্যাস্ত?ঢাকা ডিজিটাল হলেই কি বাংলাদেশ ডিজিটাল?আর গ্রাম অঞ্চল কি আ্যানালগ থাকলে চলবে?প্রতি বছরেই কুড়িগ্রাম,রৌমারীর মানুষ পানি বন্দি হয়ে কতো কষ্টে দিন কাটেচ্ছে।আর সরকারের সেদিকে চোখে দেখছেনা। আমরা কি বাংলাদেশের মানুষ না?

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ধানমন্ডি সঙ্করে বাড়ি ভারা না দেয়ায় নবজাতক শিশু সহ মাকে বাড়ি থকে বের করে রাস্তায় নামিয়ে দিল।

গতকাল ৩ তারিখ সন্ধার দিকে আমি আমাদের অফিসের টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে আসতেছি।জায়গাটি হচ্ছে ধানমন্ডি সঙ্কর পশ্চিম দিকে একটি ছোট গলি।আমি আমার মতো হেটে আসতেছি।এমন সময় দেখলাম রাস্তার ধারে একটি মহিলা কোলে নবজাতক শিশু নিয়ে দারিয়ে আছে।সেখানে কিছু মহিলা ভীর জমিয়ে আছে।আমি দেখে দারালাম একটু।সেই কোলে বাচ্চা মহিলাটি বলতেছে " ১৩ শত টাকা এই মাসের ভারা দিতা হারিনি হের লাইগা বাড়ি ওয়ালা বাড়িতথন  রাস্তায় নাইম্মা দিছে।আমি ওহন কি করুম এই ছোড পোলারে নিয়া।কেমনে কামাই করুম এই বাচ্চাডারে নিয়া।"
দেখে মনে হল বাচ্চাটি ২দিন কিংবা ৩দিন হয় জন্ম নিয়েছে।আর নিষ্ঠুর বাড়িওয়ালা এই নবজাতক বাচ্চা সহ রাস্তায় বের করে দিয়েছে।মহিলাটি নিরুপায় হয়ে কাঁদছে আর বলছে" আমি এহন কই যামু এই পোলারে নিয়া।
এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।আর মনে পরল আমার মায়ের কথা ।ভাবলাম মাগো আমিও একদিন এমন ছোট ছিলাম তোমার কোলে কত আদরে বড় হয়েছি।আর এই ছোট্ট শিশু সবেমাত্র জন্ম নিয়েছে তার কতোনা কষ্ট হচ্ছে।
শরিরের প্রতিটা লোম দারিয়ে গেল হায়রে ঢাকা শহরের মানুষ এতটা নিষ্টুর।সামান্য কয়টা টাকার জন্য একটা নবজাতক শিশু সহ মাকে রাস্তায় নামিয়ে দিল।আমার প্রশ্ন এরা মানুষ না পশুর চেয়েও নিক্রিষ্ট???

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

জীবন অচল কিন্তু বাটপারিতে সচল কিছু মানুষ

                          কিছুদিন আগে আমার অফিসে একজন লোক আসল।দেখে মনে হলো প্যারালাইসিস রোগি।ভাল করে হাটতে পারছেনা,আমি দেখে  সালাম দিয়ে গ্লাসের দরজা টেনে ধরলাম।লোকটি ভেতরে আসল।ভাল করে কথা বলতে পারছে না।খুব আস্তে আমার নাম জিঙাস করল।আমি উত্তর দিলাম।তারপর  উনাকে দেখে মনে হল দারিয়ে থাকতে পারছেনা পরে যাবে,এই ভবে একটি টুল এগিয়ে দিলাম বসতে।উনি বসে পরল।
আমি আমার কাজে  কম্পিউটারে ব্যাস্ত।উনি আমাকে অনেক কিছু জিঙাসা করছে কিন্তু আমি কথা বলার সময় পাচ্ছিনা।কথা বলতে বলতে আমাকে বলল "বাবা দেশের বাইরে লোক নিচ্ছে যাবা?অল্প খরচ পরবে।আমি কথাটি শুনে উনার দিকে একটু মনোযোগ দিলাম যে কি বলে শুনি?আমি বললা আংকেল কোন দেশে?উনি বলল "কাতার "
খরচ?
৩ থেকে সারে ৪।
এত কমে কি যাওয়া সম্ভব?
হম সম্ভব আমার সাথে ওই দেশে এক মন্ত্রির সাথে পরিচয় আছে তাই।
কি পোস্ট?
সিকিউরিটি।
স্যালারি?
নতুন অবস্হায়২০-২৫ ৩মাস পর  বারবে।এসব কথা আমাকে বলতে লাগলো।আমি উনার কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে শুনতেছি দেখি কি বলে উনি।
একটু পরে আবার বলতেছে
"সামনে কুরবানি ঈদে ফ্লাইট হবে।যাওয়ার আগে আ্যডভান্স ১লাখ দিতে হবে,আর বাকিটা যাওয়ার সময়।আর যদি কোনো ক্রমে যাওয়া না হয় আমাকে টাকা ফেরত নিতে ১ মাস সময় দিতে হবে।" কথা তেমন বলতে পারছেনা থুদুবুদু করে আমাকে বোঝাল।আমি উনার কথাগুলোর মাঝে সন্দেহ পেলাম যে নিশ্চয় বাটপারির ধান্দা।আমি আমার  কাজ বাদ দিয়ে উনার দিকে আরো মনোযোগি হলাম।আমি বললাম
আপনি এতো অল্প টাকায় কিভাবে লোক পাঠাতে পারেন?উনি আমকে উত্তর দিল ওই দেশের মন্ত্রীর সাথে আমার পরিচয় আছে।এই কথা শুনে আমি পুরোপুরি বুঝে নিলাম বাটপারি ছারা আর কিছুই নয়।এবার আমি চুপ করে আমার কাজে খেয়াল দিলাম।উনি কিছুক্ষন বসে থেকে উঠে দারাল।তার পর আমাকে বলল
বাবা তুমি না যেতে পারলে তোমার পরিচয়ের কারো সাথে কথা বলো।তোমার নাম্বারটি দাও।আমি আর কিছু না ভেবে নাম্বারটি দিলাম।উনি আমার কাছ থেকে মোবাইলে নাম্বার সেইভ করে নিল।উনি আরো কিছুক্ষন আমার টেবিলের সামনে দারিয়ে থাকলো।তার পর আমাকে বলল
"বাবা একটা কথা বলব মনে কিছু নিওনা।আমি বললাম আচ্ছা বলেন।
বলতেছে "দেখো বাবা আমি বাসায় যাব,আমার কাছে রিক্সা ভাড়ার টাকা নেই ৩০ টা টাকা দাও" এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম কথা শুনে।ভাবলাম মন্ত্রীর সাথে পরিচয় আছে অথচ পকেটে নাকি রিক্সা ভাড়ার টাকা নেই। আমার কাছে চাচ্ছে ।আজব মানুশ,দেখতে ভদ্রঘরের মানুষ মনে হয় বড় লোক।হাটতে পারেনা ভাল করে কথাও ঠিকমতো বলতে পারে না।বয়োস অনেক হয়েছে অথচ বাটপারি ছারেনি হায় রে মানুষ!